ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দেওয়ার বিধান থাকায় সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানই ধর্মীয় রীতি আর সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি ও এর মাংস বণ্টন করে থাকেন। এ সময় প্রতিটি পরিবারেই বেশি পরিমাণে থাকে কোরবানির মাংস। তাই অনেকেই ডায়েটলিস্টে মাংস খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেন অনেকটাই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোরবানির ঈদে সাধারণত চারপায়া প্রাণীকে কোরবানির জন্য বেছে নেয়া হয়। এই চারপায়া প্রাণীর মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, ছাগল, খাসি, ভেড়া, উট ইত্যাদি। যার সবই উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
এই উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ হিসেবে থাকে আরও নানান খাবারের আয়োজন, যা আমাদের শরীরে ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়ে ঈদের আনন্দ মাটি করে দিতে পারে। তাই আসুন জেনে নিই উচ্চমাত্রার এই মাংস খাওয়ার পর কোন খাবারটি ভুলেও খেতে পারবেন না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ বাংলায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে বিখ্যাত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নিকিতা কোহলির পরামর্শ।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নিকিতা কোহলি মনে করেন, মাংস খাওয়ার সঙ্গে বা খাওয়ার পর একটি খাবার খাওয়ার প্রবণতা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে।
যেমন মাংস খাওয়ার পর দুধ বা দুধজাতীয় কোনো খাবার খাওয়া মোটেও উচিত নয়। কারণ, দুধ হজম হতে অনেক বেশি সময় নিয়ে থাকে। মাংসও আমাদের শরীরে সহজে হজম বা শোষণ হয় না। তাই এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে আপনার হতে পারে পেটে গ্যাস বা হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা।
এই দুটি খাবার পাচনক্ষমতার বিরুদ্ধে কাজ করে, যা আপনার পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করার পাশাপাশি এর ক্ষতিসাধন করতে শুরু করে। ত্বকের নানা সমস্যা, অ্যালার্জি, স্টমাক সমস্যা, হজমের সমস্যা, গ্যাস হওয়া, আলসারের সমস্যা, কনস্টিপেশন থেকে শুরু করে অ্যাসিড বা আরও রোগ হতে পারে আপনার। তাই কোরবানির ঈদে ডেজার্ট হিসেবে দুধের পায়েস, ফিরনি কিংবা মাংস রান্নায় তরল দুধ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।